ইউনুস এমরে ভলিউম ২৬ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles | ইউনুস এমরে ভলিউম ২৬ বাংলা ডাবিং
ভলিউমঃ ২৬
সিজনঃ ০২
প্রচারেঃ দূরবীন মিডিয়া
আমাদের ডোনেট করুনঃ
01840-233952 ( বিকাশ-পারসোনাল)
ইউনুস এমরে এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
ইউনুস এমরে ছিলেন সূফী ঘরনার একজন আধ্যাত্মিক কবি।
উনি জন্মগ্রহণ করেন ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে এবং এই আধ্যাত্মিক কবি মৃত্যুবরণ করেন১৩২০খ্রিস্টাব্দে । তার কবিতার মাধ্যমেই আনাতোলিয়ার জনগণ এবং সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। আধুনিক তুরস্কের নতুন এক যুগের সূচনা হয়, তখন তিনি কবিতা লিখতেন আনাতোলিয়ার প্রচলিত তুর্কি ভাষায়। ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতভাবে ১৯৯১ সালে ঘোষিত একটি প্রস্তাব পাস করে, কবির ৭৫০তম জন্মবার্ষিকীকে,“আন্তর্জাতিক ইউনুস এমরে বর্ষ” হিসাবে ঘোষণা করে। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
এক কথায় বলতে গেলে ইউনূসের এমরে তুর্কী সাহিত্যের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং বর্তমানেও আনাতোলিয়াসহ তুরস্কে তার কবিতার প্রভাব লক্ষণীয়। তার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কেননা ইউনুস এমরে, আহমেদ ইয়েসভি ও সুলতান ওয়ালাদের পরে, ফারসি বা আরবি ভাষার পরিবর্তে নিজের যুগের এবং অঞ্চলের কথ্য তুর্কি ভাষায় রচনা করা প্রথম কবিদের একজন। তাঁর কথাসাহিত্য কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমা আনাতোলিয়ায় সমসাময়িকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে এখনো। ইহা বহু সংখ্যক বেনামী লোক-কবি, লোক-গান, পরীদের কাহিনী, কৌতুক এবং হিতোপদেশের ভাষা। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
এইটা অনেকটা এরকম অঘুজদের দাদা কুরকুত বের এর মত। তুর্কি লোককাহিনী যেটি একটি যুগোপযোগী যন্ত্র হিসেবে তার ও তার সমসাময়িকদের কাছে মৌখিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছিল তাদের মত করে টিকারমামলারের ব্যবহারে ইউনুস এমরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মঙ্গোলরা যখন ১২৪৩ সালে আনাতোলিয়া আক্রমণ করে কোশ দাগের যুদ্ধে তখন ইউনুস এমরের কবিতা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তিনি সকলের মাঝে পরিচিত লাভ করেন। যার কারণে আজারবাইজান থেকে বলকান পর্যন্ত বিস্তৃত কয়েকটি দেশে তিনি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । যার মধ্যে সাতটি ভিন্ন এবং বিস্তৃত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলাকাগুলি তাদের সমাধিগুলির মধ্যে তার সমাধি থাকার বিষয় দাবী করে বিতর্ক করে। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
তার লেখা কবিতা ও গান এখনো তুরস্কের সূফী ঘরনার শিল্পীরা গেয়ে থাকে দেশ-বিদেশে সূফী ঘরনার অনুষ্ঠানে। তার বেশ কিছু কবিতা বাংলায় অনূদিত হয়েছে এবং তার কবিতা বাংলায় অনুবাদ করে একটিও বইও অনলাইন বই বিক্রির সাইটে দেখা যায়। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
আল-রাজী
(৮৬৫-৯২৫)
মুসলিম ইতিহাসে যে ক’জন মনীষী চিকিৎসাবিজ্ঞানে
খ্যাতি অর্জন করেন তাদের অন্যতম জাকারিয়া আল-
রাজি। তিনি ৮৬৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানের
নিকট রায় নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
তার পুরাে নাম Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
ফাখর আল-দীন আবু আবদ আল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে উমর
ইবনে আল-হুসায়েন। তিনি একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক
ও দার্শনিক ছিলেন। ছােটবেলা থেকেই আল-রাজি প্রখর
মেধার অধিকারী ছিলেন। তেহরানে লেখাপড়া শেষ করে
তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বাগদাদে চলে যান। তখন
তার বয়স ছিল বিশ বছর। তেহরানে থাকাকালে আল-
রাজি রসায়নশাস্ত্রে পারদর্শিতা অর্জন করেন। বাগদাদে
এসে তিনি গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন। এ সময় আল-রাজি ইরানি চিকিৎসাপ্রণালী ও
ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও গভীর জ্ঞান-অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি পদার্থবিদ্যায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি
লাভ করেন। দর্শনশাস্ত্রের প্রতিও তাঁর কম অনুরাগ ছিল না। Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
শিক্ষাজীবন শেষ করে আবু বকর আল-রাজি কিছুদিন জুন্দেশাপুর বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রে
শিক্ষানবিশ হিসেবে কাটান। এখানে তিনি আলকেমি ও ভেষজতত্ত্বে গভীর গবেষণা করেন। এ
সময় চিকিৎসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাগদাদ শহরে তাঁর
সমকক্ষ দ্বিতীয় কোনাে চিকিৎসক ছিল না। তিনি কিছুকাল খলিফা আল-মুকতাদিরের প্রধান
চিকিৎসক ছিলেন। খলিফার অনুরােধে আল-রাজি কয়েক বছর রায়, জুন্দেশাপুর ও বাগদাদের
সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে কাজ করেন। এ সময় পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ইউরােপ থেকে
রােগীরা নিরাময়ের আশায় তাঁর কাছে ছুটে আসত। তা ছাড়া জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে অসংখ্য
শিক্ষার্থী শিক্ষালাভের আশায় তাঁর কাছে ভিড় জমাত।
আল-রাজির চিকিৎসাপ্রাণালী ছিল আধুনিক আর শিক্ষাপ্রণালীও ছিল উন্নত। তিনি শিক্ষার্থীদের
চিকিৎসা সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেন এবং রােগীর পাশে থেকে তাদের শুশ্রুষা করার
উপদেশ দিতেন। সার্জারি’ বা শৈল্য চিকিৎসায়ও আল-রাজির অত্যন্ত সুনাম ছিল। আল-রাজির
হাতে চিকিৎসালাভ করাকে রােগীরা আল্লাহর নিয়ামত বলে মনে করতাে। ফলে আল-রাজির
খ্যাতি, সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। এর সাথে তিনি প্রচুর অর্থও কামাই করেন। এভাবে প্রায়
চল্লিশ বছরেরও অধিক সময় চিকিৎসা পেশায় তিনি নিয়ােজিত থাকেন।
আল-রাজি শুধু চিকিৎসা পেশায়ই নিয়ােজিত ছিলেন না, এ সময় তিনি গবেষণার কাজও।
করেন। তিনি নানা প্রকার এলকোহলিত স্পিরিট আবিষ্কার করেন। তিনি কৃত্রিম উপায়ে বরফ।
তৈরি করার প্রণালী উদ্ভাবন করেন। আল-রাজি তাঁর ব্যস্ততার মাঝেও গ্রন্থ রচনার কাজ করে
খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি আলকেমি বিষয়ে ‘কিতাবুল-আসরার’ বা রহস্যের গ্রন্থ নামক একটি
মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। এটি পরে ১১৮৭ সালে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়। এই গ্রন্থটি
চতুর্দশ শতক পর্যন্ত রসায়নশাস্ত্রের প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে সারা ইউরােপে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে চালু
ছিল। তবে আল-রাজির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ অবদান ছিল চিকিৎসাশাস্ত্রে। তিনি কম-বেশী দুশটি
কিতাব রচনা করেন। এর মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রেই তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা একশটি। আল-রাজির
সবচেয়ে বড় কীর্তি হচ্ছে বসন্ত ও হাম সম্বন্ধে ‘আল জুদারী ওয়াল হাসবাহ’ নামক পুস্তক রচনা।
এতে গুটিবসন্ত ও হাম রােগের লক্ষণসমূহ সঠিক বিবরণ ও পার্থক্য লিপিবদ্ধ করেন, যা তাঁর
প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে।
উক্ত পুস্তকটি ‘অন স্মল পক্স অ্যান্ড মিজলস’ নামে ইংরেজিতে
অনূদিত হয়। ল্যাটিন ও ইউরােপীয় অন্যান্য ভাষায়ও গ্রন্থটি অনূদিত হয়। তাঁর চিকিৎসাবিষয়ক
গ্রন্থের মধ্যে ‘এল হাওয়াই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযােগ্য। উক্ত গ্রন্থটি ‘লিবার কন্টিনেন্স’ নামে
লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। আল-রাজির চিকিৎসাবিষয়ক আরেকটি ছােট গ্রন্থ ‘মানসূরি’ বা
‘লবার আলমানসােরিস’। এটি তিনি মানসুর ইবনে ইসহাক নামে জনৈক শাসককে উৎসর্গ
করেছিলেন। উক্ত গ্রন্থে ভ্রমণকারীর জন্য চিকিৎসা উপদেশ, বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের প্রতিকারসহ
অন্যান্য বিষয় আলােচিত হয়েছে।
আল-রাজি চিকিৎসা ও দর্শন ছাড়াও জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যামিতি, খনিজবিদ্যা, ব্যাকরণ প্রভৃতি বিষয়ে
গ্রন্থ রচনা করেন। শেষ বয়সে এসে আল-রাজি অন্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় আটষট্টি বছর বয়সে
৯২৫ সালে এই মহান বিজ্ঞানী আফগানিস্তানের হেরাত নামক স্থানে ইনতেকাল করেন।
Yunus Emre Episode 26 Bangla subtitles
সার্ভার