kurulus osman bolum 72 bangla subtitles
kurulus osman bolum 72 bangla subtitles
সিজন ৩
ভলিউম ৭১
এপিসোড দেখতে নিচে যান
সুলতান উসমান গাজী রহঃ
প্রিয় পাঠক! উসমানী সাম্রাজ্যের ইতিহাস একটি সমুদ্র। হাজার হাজার গ্রন্থ রচিত হয়েছে এই সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে। এ বিশাল সমুদ্রের কয়েক ফোঁটা জল দিয়ে আমরা সিঞ্চিত হবো।আমরা ইতিহাস নিয়ে বাচঁবো।বর্তমান প্রজন্ম ইসলামি ইতিহাসের বিষয়ে, বিশেষত উসমানী সাম্রাজ্য সহ তুর্কীদের বিষয়ে যে পরিমান অসচেতন তা উদ্বেগের বিষয়। আমরা যদি নিয়মিত একটু একটু করে পড়ি,তাহলে অন্তত নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য কিছু জানতে পারবো,ইতিহাস নিয়ে গর্ব করতে পারবো।সে ভাবনা থেকেই আমার এ প্রয়াস;আমার প্রচেষ্টা যেন সফল হয়। আপনাদের কাছে দোয়ার আবেদন করছি;আশা করি, নিয়মিত পড়বেন এবং এই পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ
উসমান গাজীর জন্ম
বর্তমান তুরস্কের আন্কারা শহরের সোগুত এলাকায় ১২৫৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী উসমান গাজী জন্মগ্রহণ করেন। ঠিক এই সালেই মোঙ্গল রা বাগদাদ ধ্বংস করেছিলো।তবে এই জন্মসাল নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। কারো মতে ১২৫৭,আর কারো মতে ১২৫১ থেকে ১২৫৮ সালের কোনো এক সময়ে উসমান গাজী জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আরতুগুল গাজি রহঃ ও মায়ের নাম হালিমা সুলতানা। হালিমা সুলতানা ছিলেন একজন সেলজুক রাজকন্যা। উসমানের আরো দুই ভাই ছিলো,সাবচি বে ও গুন্দুজ বে।শৈশবেই উসমান গাজী ইসলামি জ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করেছিলেন।তিনি ছিলেন আল্লাহ ভিতু ও ন্যায়পরায়ন একজন শাসক।সাহসিকতায় তিনি অনন্য ছিলেন।সহমর্মিতা, পারষ্পারিক সহযোগিতাবোধ, উদারতা ইত্যাদি গুণে তিনি সমৃদ্ধ ছিলেন। ছোটকাল থেকেই উসমান গাজী পিতার প্রতিচ্ছবি হয়ে গড়ে উঠছিলেন।সাহসিকতা,আর বুদ্ধিমত্বায় সবার মনযোগ কেড়ে নিয়েছিলেন।পিতার স্বপ্নে তিনিও রঙিন হতেন;প্রতিজ্ঞা করেছিলেন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। তাই পিতার মৃত্যুর পর তিনিই প্রথম পরবর্তী উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হন।
স্ত্রী ও সন্তান -সন্ততিঃ উসমান গাজী রহঃ দুইটি বিবাহ করেছিলেন।
১ঃরাবেয়া বালা হাতুন ঃতার জন্ম সাল জানা যায়নি।উসমানের সাথে বিয়ে হয় ১২৮৯ সালে( বিতর্কিত) ।পিতার নাম শায়খ এদেবালি। কিন্তু এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে,কেউ কেউ উসমান গাজীর অন্য স্ত্রী মালহুন হাতুন কে শায়খ এদেবালির কন্যা বলেছেন।উসমানের ঔরসে তাদের একজন সন্তান জন্ম নেয়। নাম আলাউদ্দিন পাশা।রাবেয়া বালা হাতুন ১৩২৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।তাকে বিলিসিকে কবর দেওয়া হয়।তিনি উসমান গাজীর প্রথম স্ত্রী ছিলেন কিনা তা নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে।
২ঃমালহুন হাতুন ঃতার জন্ম সাল জানা যায়নি। তার পিতা কে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।কারো মতে শায়খ এদেবালি, আর কেউ বলেছেন তিনি আনাতোলিয়ার শক্তিশালি আমির কিজিল বেয়ের ছেলে উমুর বেয়ের কন্যা। আবার অনেকের মতে তিনি সেলজুক কমান্ডার আব্দুল আজিজের কন্যা। তিনি উসমানীদের পরবর্তী সুলতান ওরহান খানের মাতা ছিলেন। তাকে রাষ্ট্রের মাতা বলা হতো। তিনি ১৩২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।তাকে সোগুতে কবর দেওয়া হয়।
উসমান গাজীর মোট আটজন সন্তান ছিলেন।তার পুত্ররা হলেন আলাউদ্দিন পাশা(১২৮০-১৩৩১), সুলতান উরহান খান(১২৮১-১৩৬২),কোবান,মালিক(১২৯০-১৩৬৬),হামিদ(১২৮৮-১৩২৯),পাজারলু(১২৮৫-১৩১১),আরতুগুল (১২৮৩-১৩৩৭)এবং একমাত্র কন্যা হলেন ফাতিমা(১২৮৪-১৩৪৭)।
kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles kurulus osman bolum 72 bangla subtitles
উসমান গাজীর গুণাবলী -বীরত্ব
সুলতান উসমান ছিলেন একজন দুর্দান্ত যোদ্ধা। তাকে *কারা উসমান* নামে ডাকা হতো। তুর্কী ভাষায়* কারা * অর্থ সাহসী।তার বিরত্ব ছিল প্রশ্নাতীত;সুলতান উসমান যখন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে যুদ্বের জন্য আঞ্চলিক খ্রিষ্টশক্তি জোট বেধেছিলো,এমনকি ১৩০২ সালে স্বয়ং সম্রাট রাজকীয় বাহিনী প্রেরণ করেছিলেন।কিন্তু উসমান গাজী প্রত্যেক কে কঠিনভাবে পরাস্ত করতে সক্ষম হন।
কৌশল ও বিচক্ষণতা
সুলতান উসমান ছিলেন একজন ত্নীক্ষ বুদ্ধির অধিকারী। সেলজুকদের দূর্বলতার সুযোগে সবাই যখন দুরে সরে যাচ্ছিলো, তখন উসমান বিচক্ষণতার সঙ্গে সুলতান তৃতীয় আলাউদ্দিন কে সহায়তা দিয়ে যান।কয়েকটি দূর্গ জয় করে সেলজুকদের অধীনে নিয়ে আসেন।ফলে সুলতান খুশী হয়ে তার নামে মুদ্রা প্রচলন ও খুতবা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন।তখনই, উসমান গাজী কার্যত সুলতানের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
ইখলাছ তথা একনিষ্ঠতা
সুলতান উসমান ধর্ম ও জাতির প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন। ক্ষমতার মোহ থেকে তিনি মুক্ত ছিলেন।তিনি রাজ্য জয় করতেন শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য, দিনশেষে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতেন।তার একনিষ্ঠতার কারণে আশেপাশের অধিবাসীরা নিজেরাই তার পতাকার নিচে একত্রিত হয়।এমনিভাবে মুসলিমদের একটি বিশেষ দল যারা *গাজায়ে রোম* বা রোমের গাজিবাহিনী নামে প্রসিদ্ব,যারা আব্বাসি আমল থেকেই বাইজান্টাইনদের সাথে লড়াই করে আসছিলো ;তারা উসমানের পতাকাতলে সমবেত হয়।অনুরূপ ভাবে *আল ইখওয়ান* নামে একটি ভাতৃসংঘ ছিলো ;তারা ইসলামি যোদ্ধাদের আর্থিক সহযোগিতা করতো।আরেকটি দল ছিলো*হাজিয়াতে রোম* ; হাজিদের নিয়ে এ দল গড়ে উঠেছিল। তারা ইসলামি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতো।তারা সবাই উসমানের নেতৃত্বে আস্থা রাখতো।মোট কথা, আনাতোলিয়ার মুসলমানরা উসমানের মাঝে ইসলামী খেলাফত পুনর্গঠনের মানচিত্র খুঁজে পেয়েছিলো।
আধ্যাত্নিক সান্নিধ্য গ্রহণ
সুলতান উসমান আলেমদের শ্রদ্ধা করতেন।তিনি বিশ্বাস করতেন আলেমগণ হলো পুথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।শায়খ এদেবালি ছিলেন উসমানের আধ্যাত্মিক রাহবার। তিনি শায়খের কাছ হতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন; শায়খের কথা নিঃসংকোচে মেনে নিতেন।উসমান সোগুতে দরবেশদের জন্য খানকা নির্মাণ করেছিলেন ;যাতে সাধারণ মানুষ তাদের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়।এ খানকা পরবর্তীতে কোনিয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিলো।উসমানের পরবর্তী প্রত্যেক সুলতান একজন আধ্যাত্মিক রাহবারের সান্নিধ্যে থাকতেন।