Barbaroslar Bangla Subtitle

Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles

AVvXsEiLWSKrhgfskEXPozHeS8Dm Re7kYc vsxa3xr0UVrkrkBUEEYmj1kIV1Ib7YQ3B JrexcaRogb f4mOmsU3246X 2ehQwnnnwjDAWeQLXS CPC1U8iQg38DGndfaPGNOGdpuBZlpw8Fmt3Sx7jNskTho YB7qpkV mZVzPEe4aqjE3AlnuK8M4Yz5vNA=s16000

Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles

বারবারোসলার বাংলা সাবটাইটেল 

.সিজন-১

.এপিসোড-১৬

.ভলিউম-১৬

 

খাইরুদ্দিন পাশার জীবনী

খাইরুদ্দিন বারবারোসা হয়তো মধ্যযুগের আর দুচারজন সেনাপতির মতই ইতিহাসের কোনো এক কোণে ঠাই পেতেন, কিন্তু তার অসামান্য কর্মকান্ডের ফলে তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়েছেন। উম্মাহ তাকে স্মরণ করতে বাধ্য তার অবিস্মরনীয় কর্মকান্ডের জন্য। খাইরুদ্দিন বারবারোসাকে উম্মাহ স্মরণ করে কারণ, 

১। তিনি অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মহান খেদমতে। 

২। তিনি আন্দালুস থেকে ৭০ হাজার মুসলমানকে মুক্ত করে আলজেরিয়া নিয়ে আসেন। 

৩। স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের হাত থেকে ভূমধ্যসাগরকে তিনি নিরাপদ করে তোলেন। 

৪। প্রিভেজার যুদ্ধে তিনি ক্রুসেডারদের নির্মমভাবে পরাজিত করেন। 

— 

খাইরুদ্দিন বারবারোসার জন্ম ১৪৭০ খ্রিস্টাব্দে, গ্রীসের লেসবস দ্বীপে। তিনি ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোটজন। পিতা ইয়াকুব বিন ইউসুফ ছিলেন উসমানি বাহিনীর একজন সাধারণ যোদ্ধা। মা ছিলেন আন্দালুসের বংশোদ্ভুত। সাদামাটা ছিমছাম পরিবার। রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে এই পরিবারের কোনো কতৃত্ব ছিল না। খাইরুদ্দিনের অন্য ভাইয়েরা হলেন আরুজ, ইসহাক ও মুহাম্মদ ইলিয়াস। খাইরুদ্দিনের মূল নাম খাসরুফ। 

 

দ্বীপে বসবাস করার কারনে খাইরুদ্দিনের ভাইয়েরা নৌবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। বড় ভাই আরুজের বেশ কয়েকটি নৌকা ছিল। প্রথমদিকে তিন ভাই নাবিক হিসেবে কাজ করলেও পরে তারা ভূমধ্যসাগরে সেন্ট জনের জলদস্যুদের মোকাবিলা করতে থাকেন। আরুজ ও ইলিয়াস লিভেন্টে (আধুনিক সিরিয়া ও লেবানন) এবং খিজির এজিয়ান সাগরে ততপরতা চালাতেন। খাইরুদ্দিনের মূল ঘাটি ছিল থেসালোনিকা। ছোট ভাই ইসহাক গ্রীসেই অবস্থান করতেন। তার কাজ ছিল পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করা। 

Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles Barbaroslar Episode 16 Bangla Subtitles

আরুজ ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ নাবিক। তিনি বেশ কয়েকটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। লেবাননের ত্রিপোলিতে এক অভিযান শেষে ফেরার পথে সেন্ট জনের জলদস্যুরা তার উপর হামলা করে। আরুজ বন্দী হন। সংঘর্ষে ইলিয়াস নিহত হন। আরুজ তিন বছর বোদরুম দুর্গে বন্দী থাকেন। সংবাদ পেয়ে খাইরুদ্দিন বোদরুম যান এবং আরুজকে পালাতে সাহায্য করেন। 

 

সার্ভার—১(৭২০পি)

 

Download Files
Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.
Browse Click to watch all Episodes of Barbaroslar
Category Drama Fantasy
Language Bangla Subtitle
Stars Barbaroslar
Views None
Language Turkish
Upload Date 2022-01-19
Report This Episode As 18+ Click Here To Report

 

 

মুক্তি পেয়ে আরুজ তুরস্কের আনাতোলিয়ায় যান। সেখানে উসমানি গভর্নর শাহজাদা কোরকুতের সাথে দেখা করেন। শাহজাদা কোরকুত তার কর্মকান্ডের কথা জেনে তাকে ১৮ টি গ্যালে দেন এবং জলদ্যুসের বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব অর্পন করেন। সে সময় এই জলদস্যুরা উসমানিয়দের বানিজ্যিক জাহাজগুলোর উপর হামলা করে বেশ ক্ষতি করছিল। পরের বছর আরুজকে ২৪ টি জাহাজ দিয়ে ইটালির আপুলিয়াতে এক অভিযানে পাঠানো হয়। এই অভিযানে আরুজ বেশ কয়েকটি দুর্গে গোলা বর্ষণ করেন। জলদস্যুদের দুটি জাহাজ দখল করেন। ১৫০৩ খ্রিস্টাব্দে আরুজ আরো তিনটি জাহাজ আটক করেন। এসময় তিনি তিউনেসিয়ার জারবা দ্বীপকে নিজের ঘাটি বানান। আরুজ একের পর এক অভিযান চালাতে থাকেন। একবার তিনি পোপের দুটি জাহাজ আটক করেন। তবে আরুজ বিখ্যাত হয়ে উঠেন আন্দালুস তথা স্পেনে অভিযান পরিচালনা করে। 

১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে আন্দালুসের ইসলামী সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। আন্দালুসের মুসলমানদের অনেকে এসময় সাগর পাড়ি দিয়ে তিউনেসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় চলে আসেন। যারা পালাতে পারেননি তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তাদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। এই ধর্মান্তরিতদেরকেই পরে মরিসকো বলে অভিহিত করা হয়। তবে মুসলমানদের অনেকেই বাহ্যিকভাবে ধর্ম পরিবর্তন করে গোপনে নিজের আকিদা বিশ্বাস ধরে রেখেছিলেন। তারা গোপনে ইবাদতও করতেন। কিন্তু এই সুযোগ বেশিদিন মিললো না। তাদেরকে মুখোমুখি হতে হলো ইনকুইজিশনের। ইনকুইজিশন হলো ক্যাথলিক চার্চের অধিনে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা যাদের কাজ ছিল বিরোধী মত দমন করা। ইতিপূর্বে ইনকুইজিশনের মাধ্যমে ইউরোপে হাজার হাজার ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল। আন্দালুসের পতনের পর এখানেও চালু করা হয় ইনকুইজিশন। ইনকুইজিশনের গোয়েন্দারা শহরের অলিগলিতে ঘুরতে থাকে। কারো ঘরে কুরআনুল কারিম পাওয়া গেলে কিংবা কাউকে ইবাদত করতে দেখলেই তাকে গ্রেফতার করা হত। এমনকি কেউ যদি শুকরের মাংস খেতে অস্বীকার করতো, কিংবা শুক্রবার গোসল করতো তাহলেও তাকে গ্রেফতার করা হত। ইনকুইজিশনের আদালত ছিল ভয়ংকর। সেখানে কারো নামে অভিযোগ উঠলে তার আর রেহাই ছিল না। কোনো না কোনো শাস্তি তাকে পেতেই হত।ইনকুইজিশনের কাছে নির্যাতন করার জন্য অনেক ভয়ংকর যন্ত্রপাতি ছিল। এসবের সাহায্যে নির্যাতন করা হতো কিংবা জীবন্ত কবর দেয়া হত। 

 

সার্ভার—২(৪৮০পি)

 

Download Files
Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.
Browse Click to watch all Episodes of Barbaroslar
Category Drama Fantasy
Language Bangla Subtitle
Stars Barbaroslar
Views None
Language Turkish
Upload Date 2022-01-19
Report This Episode As 18+ Click Here To Report

 

 

ইনকুইজিশন শুরু হলে আন্দালুস হয়ে উঠে মুসলমানদের জন্য নরকতূল্য। এমন নরক, যেখান থেকে পালানোর উপায় নেই।

১৫১৪ সালে আরুজ ও খাইরুদ্দিন আলজেরিয়ার জিজেল শহরে অবস্থিত স্প্যানিশদের নৌঘাটিতে হামলা চালান। এই যুদ্ধে স্প্যানিশরা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে। শহরের নিয়ন্ত্রন আরুজের হাতে চলে আসে। শহরটি সমূদ্রের কূলে অবস্থিত হওয়ার কারনে এর সামরিক গুরুত্ব বিবেচনা করে আরুজ এই শহরকেই নিজেদের হেড কোয়ার্টার বানা। ইতিমধ্যে রোডস দ্বীপে একটি অভিযান চালানোর সময় আরুজ সেন্ট জনের বাহিনীর হাতে বন্দী হন। কিন্তু শীঘ্রই তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে ইটালি চলে যান। সেখানে ক্রুসেডারদের একটি জাহাজ দখল করে মিসরের পথ ধরেন। 

 

১৫১৮ খিস্টাব্দে আরুজ ও খাইরুদ্দিন তিলিসমান শহরে অবস্থিত স্প্যানিশ বাহিনীর ঘাটিতে হামলা করেন। এই যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। যুদ্ধের এক ফাকে আরুজকে স্প্যানিশরা ঘিরে ফেলে। তরবারীর আঘাতে তাকে ঝাঁঝরা করে ফেলা হয়। আরুজ আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন। কালিমায়ে শাহাদাত পড়তে পড়তে তিনি শহীদ হয়ে যান। স্প্যানিশরা আরুজের মাথা কেটে ইউরোপে নিয়ে যায়। তার কাটা মাথা ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ঘুরানো হয়। আরুজের কাটা মাথা যেদিক দিয়ে যেত সেখানকার গির্জায় ঘন্টা বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করা হত। 

 

আরুজের মৃত্যুতে ইউরোপিয়ানরা খুশি ছিল। তারা ভাবছিল আরুজের মৃত্যুর ফলে মুসলমানদের মনোবল ভেংগে যাবে। অথচ মুসলমানরা ব্যক্তি নির্ভর কোনো জাতী নয়। তাদের কাছে পতাকা উত্তোলন করাটাই মূল কাজ, কে করলো তা বড় নয়। আরুজের মৃত্যুতে ইউরোপিয়ানদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু তাদের জানা ছিল না, তাদের এই স্বস্তি বাতাসে মিলিয়ে যাবে। শীঘ্রই তাদের মুখোমুখি হতে হবে এমন এক সেনাপতির, যিনি আরুজের চেয়েও দুর্ধর্ষ ও বিচক্ষণ। সামনের দিনগুলিতে যিনি একাই ইউরোপিয়ান বাহিনীর ঘুম কেড়ে নিবেন। 

সেই সেনাপতির নাম খাইরুদ্দিন বারবারোসা। 

 

সার্ভার—৩(৩৬০পি)

 

Download Files
Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.
Browse Click to watch all Episodes of Barbaroslar
Category Drama Fantasy
Language Bangla Subtitle
Stars Barbaroslar
Views None
Language Turkish
Upload Date 2022-01-19
Report This Episode As 18+ Click Here To Report

 

আরুজের মৃত্যুর পর মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব খাইরুদ্দিনের হাতে আসে। তার হাতে রয়েছে ছোট একটি নৌবাহিনী । এছাড়া আলজেরিয়ার বিশাল এলাকা তার দখলে। তিনি চাইলে স্বাধীন শাসক হিসেবে আলজেরিয়ায় নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। আরাম আয়েশে দিন কাটাতেন। স্প্যানিশদের সাথে খাতির করে নিজের রাজত্ব দৃঢ় করতে পারতেন, যেমনটা করছিল তখন তিউনেসিয়ার হাফসি সুলতানরা। 

 

খাইরুদ্দিন সেপথে গেলেন না। তিনি তো আরাম আয়েশের জীবন চান না। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহই তার জীবনের ধ্যানজ্ঞান। প্রায়ই তিনি সংগীদের বলতেন, মৃত্যুই যখন শেষ গন্তব্য তখন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বেছে নেয়াই শ্রেয়। খাইরুদ্দিন ভাবছিলেন আন্দালুসের মুসলমানদের কথা। ইতিপূর্বে তিনি ও তার ভাই বেশকিছু মুসলমানকে মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু এখনো অনেকে বন্দী ইনকুইজিশনের কারাগারে। খাইরুদ্দিন তাদেরকেও মুক্ত করতে চান। এদিকে ভূমধ্যসাগরে ঘুরছে ইউরোপিয়ানদের নৌবহর। খাইরুদ্দিন চান তাদের দম্ভ চূর্ণ করতে। কিন্তু খাইরুদ্দিনের ছোট বাহিনী নিয়ে একাজ করা সম্ভব নয়। তারপাশে চাই শক্তিশালী কোনো মিত্র কে। 

খাইরুদ্দিন ভাবছিলেন কে হতে পারে সেই মিত্র। অনেক ভেবে খাইরুদ্দিন ঠিক করলেন, উসমানিয়রাই হতে পারে কাংখিত সেই মিত্র। 

৩ নভেম্বর ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে খাইরুদ্দিনের আদেশে আলজেরিয়ার গন্যমান্য ব্যক্তিত্বরা সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে একটি পত্র লিখে। পত্রে তারা আরুজ ও খাইরুদ্দিনের অবদানের কথা উল্লেখ করে। ইউরোপিয়ানদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের বিবরণ দেয়া হয়। তারপর সুলতানের কাছে আবেদন জানানো হয় সুলতান যেন আলজেরিয়াকে উসমানী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। 

 

সুলতান প্রথম সেলিম তখন সবেমাত্র মিশর ও সিরিয়া সফর শেষে ফিরেছেন। এই পত্র পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি হন। তিনি আলজেরিয়াকে উসমানী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। সেদিন থেকে সুলতান সেলিমের নামে আলজেরিয়াতে খুতবা পড়া শুরু হয়। সুলতান আলজেরিয়াতে দু হাজার সৈন্য ও একটি তোপখানা প্রেরণ করেন। খাইরুদ্দিনকে সম্মানসূচক বেলারবি পদ দান করা হয়। খাইরুদ্দিন তার ভাইয়ের স্থাল্ভিষিক্ত হন এবং ভাইয়ের অসমাপ্ত মিশন সমাপ্ত করার দায়িত্ব পান। 

খাইরুদ্দিন তো এটাই চাচ্ছিলেন। তিনি ক্ষমতা চাচ্ছিলেন না। চাচ্ছিলেন সামান্য একটু সাহায্য, যা নিয়ে তিনি ছুটে যাবেন নির্যাতিত মুসলমানদের কাছে।

সুলতান প্রথম সেলিমের পর ক্ষমতায় বসেন সুলতান সুলাইমান আল কানুনি। তিনিও পিতার মতো খাইরুদ্দিনকে সাহায্য করতে থাকেন। 

১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে খাইরুদ্দিন আলজেরিয়ার একটি দ্বীপে অবস্থিত স্প্যানিশ দুর্গে হামলা করেন। তিনি ২০ দিন একটানা গোলাবর্ষণ করেন। পরে কেল্লার পতন হয়। স্প্যানিশরা পালিয়ে যায়, অনেকে বন্দি হয়। সে বছরই খাইরুদ্দিন ৩৬ টি জাহাজ নিয়ে স্পেনের উপকূলের বিভিন্ন শহরে যান এবং অনেক মুসলমানকে মুক্ত করে আলজেরিয়া নিয়ে আসেন। স্পেন তখন রোমানিয়ার শাসক চার্লস পঞ্চমের অধীনে। এভাবে খাইরুদ্দিন বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। 

খাইরুদ্দিন ৭ দফায় ৭০ হাজার বন্দী মুসলমানকে স্পেন থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। খাইরুদ্দিনের মূল নাম ছিল খসরুফ। 

 

আন্দালুসিয়ার বাসিন্দারা তাকে উপাধি দেয় খাইরুদ্দিন। পরে এই নামই প্রসিদ্ধ হয়ে যায়। এই নামের সাথেই মিশে আছে দ্বীন ও উম্মাহর জন্য তার অসামান্য কোরবানীর ইতিহাস। ইউরোপিয়রা তাকে নাম দেয় বারবারোসা। ইটালিয় ভাষায় এই শব্দের অর্থ লাল দাড়িওয়ালা। 

খাইরুদ্দিন নিয়মিত ভূমধ্যসাগরে অভিযান পরিচালনা করছিলেন। একের পর এক ইউরোপিয়ান নৌবহরকে তিনি পরাজিত করতে থাকেন। তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য।

 

 

অতঃপর ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সুলাইমান কানুনি খাইরুদ্দিনকে ইস্তাম্বুলে আমন্ত্রণ করেন। খাইরুদ্দিন ৪৪ টি জাহাজ নিয়ে ইস্তাম্বুলের পথে রওনা হন। পথে যেসব দ্বীপে তিনি যাত্রাবিরতী করছিলেন সবখানেই উতসুক জনতা তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসে। খাইরুদ্দিন ইস্তাম্বুল পৌছলে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথীর মর্যাদা দেয়া হয়। প্রাসাদের পাশেই একটি মহলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। 

উজিরে আযম তখন হালাবে অবস্থান করছিলেন। খাইরুদ্দিনের ইস্তাম্বুল আগমনের সংবাদ পেয়ে তার মন আনচান করে ওঠে। তারও ইচ্ছে হয় এই মর্দে মুজাহিদকে এক নজর দেখার। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারনে তিনি ইস্তাম্বুল ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তিনি সুলতানের কাছে পত্র লিখে নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। সুলতান সুলাইমান খাইরুদ্দিনকে হালাবে প্রেরণ করেন। একইসাথে উজিরে আজমকে পত্র লিখে বলেন, খাইরুদ্দিনকে সম্বর্ধনা দিতে এবং আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি না করতে। 

 

হালাবে খাইরুদ্দিনকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। পরে তিনি ইস্তাম্বুল ফিরে আসেন। সুলতান তাকে উসমানি নৌবাহিনীর প্রধান (কাপুদান-ই-দরিয়া) নিযুক্ত করেন। একইসাথে তাকে উত্তর আফ্রিকার বেলারবি (গভর্নর) নিয়োগ দেয়া হয়। সুলতান তাকে রত্নখচিত একটি তরবারী উপহার দেন। খাইরুদ্দিনকে নির্দেশ দেয়া হয় একটি নতুন নৌবাহিনী গঠন করার। তাকে অস্ত্রাগার ও গোল্ডেন হর্নের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। খাইরুদ্দিন দ্রুত কাজ শুরু করেন। এক বছরে ৮৪ টি জাহাজ নির্মান হয়। খাইরুদ্দিন তার বহর নিয়ে ইটালির কয়েকটি দ্বীপে হামলা করেন। কয়েকটি শহর উসমানিদের দখলে আসে। 

ঐতিহাসিক হাজি খলিফা লিখেছেন, বারবারোসা ১২ টি দ্বীপ দখল করেন। আরো ১৩টি দ্বীপে হামলা করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। তার অভিযানে মোট ১৬ হাজার লোক বন্দী হয়। মুক্তিপণ হিসেবে পাওয়া যায় চার লাখ স্বর্নমুদ্রা। 

একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত ইউরোপিয়ানরা সিদ্ধান্ত নেয় এবার তারা খাইরুদ্দিনের উপর চুড়ান্ত হামলা করবে। ভূমধ্যসাগর থেকে মুসলিম নৌবহরকে বিতাড়ন করা হবে। পোপ তৃতীয় জন পল হলি লীগ আহবান করেন। পুরো ইউরোপে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। গঠিত হয় সে সময়ের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী। এই বহরে ছিল

১। রিপাবলিক অব ভেনিস। 

২। ডাচি অব মান্তুয়া 

৩। স্প্যানিশ এম্পায়ার 

৪। পর্তুগিজ এম্পায়ার 

৫। পাপাল স্টেটস 

৬। রিপাবলিক অব জেনোয়া

৭। অর্ডার অব সেইন্ট জন 

 

এই মহান যোদ্ধা ৪ জুলাই ১৫৪৬ খ্রিস্টাব্দে ইস্তাম্বুলে ইন্তেকাল করেন।

Related Articles

One Comment

  1. একটা কিছু বুঝলাম না এগুলো তো উসমান অনলাইনের ভিডিও আপনারা সাব করেন না।?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button