ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
ভলিউমঃ ৩০
সিজনঃ ০২
প্রচারেঃ দূরবীন মিডিয়া
আমাদের ডোনেট করুনঃ
01840-233952 ( বিকাশ-পারসোনাল)
ইউনুস এমরে এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
ইউনুস এমরে ছিলেন সূফী ঘরনার একজন আধ্যাত্মিক কবি।
উনি জন্মগ্রহণ করেন ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে এবং এই আধ্যাত্মিক কবি মৃত্যুবরণ করেন১৩২০খ্রিস্টাব্দে । তার কবিতার মাধ্যমেই আনাতোলিয়ার জনগণ এবং সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। আধুনিক তুরস্কের নতুন এক যুগের সূচনা হয়, তখন তিনি কবিতা লিখতেন আনাতোলিয়ার প্রচলিত তুর্কি ভাষায়। ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতভাবে ১৯৯১ সালে ঘোষিত একটি প্রস্তাব পাস করে, কবির ৭৫০তম জন্মবার্ষিকীকে,“আন্তর্জাতিক ইউনুস এমরে বর্ষ” হিসাবে ঘোষণা করে। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
এক কথায় বলতে গেলে ইউনূসের এমরে তুর্কী সাহিত্যের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং বর্তমানেও আনাতোলিয়াসহ তুরস্কে তার কবিতার প্রভাব লক্ষণীয়। তার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কেননা ইউনুস এমরে, আহমেদ ইয়েসভি ও সুলতান ওয়ালাদের পরে, ফারসি বা আরবি ভাষার পরিবর্তে নিজের যুগের এবং অঞ্চলের কথ্য তুর্কি ভাষায় রচনা করা প্রথম কবিদের একজন। তাঁর কথাসাহিত্য কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমা আনাতোলিয়ায় সমসাময়িকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে এখনো। ইহা বহু সংখ্যক বেনামী লোক-কবি, লোক-গান, পরীদের কাহিনী, কৌতুক এবং হিতোপদেশের ভাষা। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
এইটা অনেকটা এরকম অঘুজদের দাদা কুরকুত বের এর মত। তুর্কি লোককাহিনী যেটি একটি যুগোপযোগী যন্ত্র হিসেবে তার ও তার সমসাময়িকদের কাছে মৌখিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছিল তাদের মত করে টিকারমামলারের ব্যবহারে ইউনুস এমরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মঙ্গোলরা যখন ১২৪৩ সালে আনাতোলিয়া আক্রমণ করে কোশ দাগের যুদ্ধে তখন ইউনুস এমরের কবিতা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তিনি সকলের মাঝে পরিচিত লাভ করেন। যার কারণে আজারবাইজান থেকে বলকান পর্যন্ত বিস্তৃত কয়েকটি দেশে তিনি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । যার মধ্যে সাতটি ভিন্ন এবং বিস্তৃত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলাকাগুলি তাদের সমাধিগুলির মধ্যে তার সমাধি থাকার বিষয় দাবী করে বিতর্ক করে। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
তার লেখা কবিতা ও গান এখনো তুরস্কের সূফী ঘরনার শিল্পীরা গেয়ে থাকে দেশ-বিদেশে সূফী ঘরনার অনুষ্ঠানে। তার বেশ কিছু কবিতা বাংলায় অনূদিত হয়েছে এবং তার কবিতা বাংলায় অনুবাদ করে একটিও বইও অনলাইন বই বিক্রির সাইটে দেখা যায়। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
সিরিজ সম্পর্কিত কিছু কথাঃ
সম্মানিত দূরবীন মিডিয়ার, ইউনুস এমরে সিরিজের দর্শকবৃন্দ আস্সালামু আলাইকুম।
আল্লাহর রহমত আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরাও আল্লাহর রহমত আপনাদের দোয়াই ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি,
আপনারা জানেন যে কেউ যখন ইউনুস এমরে সিরিজটির কাজ করছে না, তখনি আপনাদের অনুরোধ আমরা ইউনুস এমরে সিরিজের বাংলা সাবটাইটেল করার ঘোষণা দিই এবং আল্লাহর রহমত আমরা আপনাদের সুন্দর এবং মান সম্মত সাবটাইটেল উপহার দেওয়ারও চেষ্টা করি। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
আমরা এই সিরিজ হাতে নেওয়ার পিছনে আমাদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই।
শুধুমাত্র এই সমাজের অসুস্থ সংস্কৃতি ধারা ধ্বংস করতেই, আমরা সুস্থ সংস্কৃতির প্রচারের স্বার্থেই এই সিরিজের বাংলা সাবটাইটেল করা।
আমরাও আশা করি যে, আপনারাও আমাদের মত সুস্থ সংস্কৃতি প্রচারের সাহায্য করবেন।
আগেই বলেছি, এই সিরিজ প্রচারে আমাদের নিজস্ব কোন স্বার্থ জড়িত নেই। তবুও জানেন, এই সাবটাইটেল এবং অনুবাদ করতে অনেক শ্রম ব্যয় হয়। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
বিশেষ করে অবুবাদ করতে অনেক সময় ব্যয় হয় অনুবাদকদের। আমরা অনুবাদকদের কোন প্রকার হাদিয়া প্রদান করতে পারি না কেননা, আমরা এ থেকে কোন প্রকার টাকা আয় করতে পারি না।
তাই আপনারা যদি অনুবাদকদের ডোনেশন দেন, তাহলে আমরাও তাদের কিছুটা হাদিয়া প্রদান করতে পারবো।
এতে অনুবাদকরা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও সুন্দর কাজ উপহার দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
আমাদের ডোনেশন করুনঃ
01840-233952( বিকাশ-পারসোনাল)
ইনশাআল্লাহ আপনারা সুস্থ সংস্কৃতি প্রচারে পাশে থাকবেন। ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
ইউনুস এমরে ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল | Yunus Emre Episode Bangla Subtitles
ধন্যবাদ ❤️
আল্লামা শেখ সাদি (রহ)
(১১৮৪-১২৯১)
আল্লামা শেখ সাদি (রহ) ১১৮৪ সালে পারস্যের ফারেস
প্রদেশের অন্তর্গত সিরাজ নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
বাল্যকালে তাঁর নাম ছিল শেখ মােসলেহউদ্দিন। জানা
যায়, ফারেসের শাসনকর্তা আতাবেক সাদ বিন জঙ্গীর
রাজত্বকালে তিনি যখন কবিতা লিখতেন তখন আপন
নামের সাথে সাদি’ লিখতেন এবং এ নামেই তিনি
সুখ্যাতি লাভ করেন। সাদির পিতা রাজ দরবারে চাকরি
করতেন এবং তিনি ছিলেন খুব ধার্মিক। ফলে শৈশব
থেকেই সাদি ধর্মীয় অনুশাসনের ভেতর দিয়ে গড়ে
ওঠেন। কোনাে অসৎ সঙ্গ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
শৈশবেই তাঁর মধ্যে পরিলক্ষিত হয় অসাধারণ প্রতিভা।
শিক্ষালাভের প্রতি ছিল তাঁর অস্বাভাবিক আগ্রহ। কিন্তু শৈশবেই পিতা মৃত্যুবরণ করায় তিনি হয়ে
পড়েন নিতান্ত ইয়াতিম ও অসহায়। পিতার আর্থিক অবস্থাও ভালাে ছিল না। সরকারি চাকরি
করে পিতা যে সামান্য বেতন পেতেন তা দিয়েই খুব কষ্ট করে তাকে সংসার চালাতে হতাে।
কিন্তু পিতার মৃত্যুতে সংসারে নেমে আসে চরম দারিদ্র এবং তার শিক্ষা লাভের ওপর আসে
মারাত্মক আঘাত। কিন্তু এ অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের মধ্যেও তিনি ধৈর্য হারাননি।
পিতার মৃত্যুর পর সাদি সিরাজ নগরের গজদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। কারাে মতে ফারেসের
শাসনকর্তা আতাবেক সাদ বিন জঙ্গি দয়াপরবশ হয়ে স্বয়ং ইয়াতিম শেখ সাদির আশ্রয় দান ও
বিদ্যাশিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। এ মাদ্রাসায় নিশ্চিত মনে বেশি দিন শিক্ষা লাভ করা তাঁর পক্ষে
সম্ভব হয়নি। কারণ, তখন রাজ্যের সর্বত্র রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি বিরাজ করছিল।
সাদি উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় দারিদ্রের সাথে লড়াই করে চলে যান বাগদাদে। বাগদাদের
নিযামিয়া মাদ্রাসা ছিল তৎকালীন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাগদাদে এসে তিনি
অনাহারে, অর্ধাহারে এবং আশ্রয়ের অভাবে দিনের পর দিন পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।
এরপর তিনি একজন সুহৃদয় ব্যক্তির সহযােগিতায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে শিক্ষা লাভ
শুরু করেন। তাঁর প্রতিভা, তীক্ষবুদ্ধি এবং শিক্ষা লাভে তাঁর অসাধারণ পরিশ্রমের প্রেক্ষিতে খুব
অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর প্রতি শিক্ষকদের সুদৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।এরপর তিনি ভর্তি হন বাগদাদের নিযামিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে তিনি বিখ্যাত আলেম
আল্লামা আবুল ফাতাহ ইবনে জওজী (রহ)-এর কাছে তাফসির, হাদিস ও ফিকহশাস্ত্র শিক্ষা
লাভ করেন।
আল্লামা শেখ সাদি (রহ) ১৫ বার হজব্রত পালন করেন। তিনি ভ্রমণ করেন ইউরােপের
বিভিন্ন শহর। তাঁর সাহিত্যকর্ম বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। বিশ্বের অধিকাংশ প্রধান
ভাষায় শেখ সাদির রচনা অনূদিত ও বহুল পঠিত।
তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে দিওয়ান’, ‘বুস্তা’ (১২৩৭) ও ‘গুলিস্তা’ (১২৫৮) ও ‘পনােমা’
উল্লেখযােগ্য।
আল্লামা শেখ সাদি (রহ) ১২৯১ সালে ইনতেকাল করেন। সিরাজে তাঁর সমাধিস্থল রয়েছে।